ইতিহাসঃ
১৯১৪ সাল হতে এই প্রতিষ্ঠানটি সার্ভে শিক্ষার সাথে জড়িত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানটিই সবচেয়ে পুরাতন ও একমাত্র যা ১৯১৪ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত এবং শতবর্ষ অতিক্রম করে বর্তমানেও চলমান আছে।
অভিভক্ত ভারতবর্ষে বৃটিশ শাসনআমলে (১৯১৪) অখন্ড বাংলায় জরিপ শিক্ষার জন্য ১ বছর মেয়াদী আমিনশীপ এবং দুই বছর মেয়াদী সার্ভে ফাইনাল কোর্স চালু হয়। বর্তমানে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভেয়িং) শিক্ষাক্রম চলমান আছে।
ইতিহাস পরিক্রমা:
ব্রিটিশ সরকার এদেশের ভূসম্পত্তি পরিমাপ, ভাগবন্টন ও খাজনা আদায়ে সুবিধার্থে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠান হতে শিক্ষা অর্জন করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সার্ভে কাজের সাথে এখানকার শিক্ষার্থীরা ঐতিহাসিকভাবেই জড়িত। দেশের প্রায় সকল মেগা প্রকল্পগুলোতে বিপুল সংখক সার্ভে প্রকৌশলী বর্তমানে কর্মরত আছে। এছাড়া দেশের ৫০ টির মত সরকারী দপ্তরে ও বেসরকারী পর্যায়ে বিপুল শিক্ষার্থীরা কর্মরত আছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের এক গবেষণায় দেখা যায় যে, এই প্রতিষ্ঠান হতে পাশকৃত ৬০% শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন সরকারী দপ্তর / প্রতিষ্ঠানের সুনামের সাথে কাজ করে আসছে।
সরকারি এমন কয়েকটি মন্ত্রণালয়/দপ্তর/অধিদপ্তর যেখানে অনেক সংখক সার্ভে প্রকৌশলী কর্মরত ও আগামীতে কর্ম হবে। যেগুলো নিম্নরূপ-
১। ভূমি মন্ত্রণালয়
২। রেলপথ মন্ত্রণালয়
৩। সড়ক, সেতু ও জনপথ মন্ত্রণালয়
৪। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর
৫। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (সকল)
৬। সিটি কর্পোরেশন (সকল)
৭। রেলপথ মন্ত্রণালয়
৮। পানি উন্নয়ন বোর্ড
৯। উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সকল বিভাগীয় শহর)
১০। উপজেল ভূমি অফিসসমূহ
ইত্যাদি
এছাড়া ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ডিজিটাল সার্ভে পরিচালনা, জমিজমা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে এখানকার শিক্ষক/শিক্ষার্থীরা কাজ করে থাকেন।
সর্বোপরি বলা যায় যে, সার্ভে শিক্ষা ও এ সংক্রান্ত কাজের সাথে ঐতিহাসিকভাবে এই প্রতিষ্ঠানটি জড়িত আছে। আগামী দিনগুলোতেও এই প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে।